ঢাকা, সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, সকাল ১০:৪১
বাংলা বাংলা English English

ভারতের বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশে


ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। রাজ্যটির বিভিন্ন শহরে ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি রাস্তা ঘাট। মেঘালয়ার চেরাপুঞ্জিতে একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। আসাম ও মেঘালয়ায় এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারতের এ দুই রাজ্যের বন্যার পানি ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জে।

ভারতের আসামে টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। রাজ্যটির অধিকাংশ জেলায় অব্যাহত রয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। স্থানীয় নদীর পানি হু হু করে বাড়তে থাকায় তা বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি অবনতি হয়েছে রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে। শহরের প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। এতে, বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে ছোট ছোট ভেলা ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা। এমনকি দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটও। বাড়ি ঘর ডুবে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর এনডিটিভির।

এক ভুক্তভোগী বলেন, এ বছর তৃতীয়বারের মত বন্যার কবলে পড়লাম। দ্বিতীয়বারের বন্যায় রাস্তাঘাটের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা সংস্কার করা হয়েছে। এবারের বন্যায় সেগুলো আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হলো।

আরেক রাজ্য মেঘালয়ের অবস্থাও শোচনীয়। রাজ্যটির ২৭ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। গত একদিনে ৯৭২ মিলিমিটার আর গত তিনদিনে ২ হাজার ৪৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজ্যটিতে। চেরাপুঞ্জিতে গত তিনদিনে এতটাই বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা মুম্বাইয়ে পুরো বর্ষাকালে হয়ে থাকে। ভারি বৃষ্টি ও বন্যায় বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধস হচ্ছে। মেঘালয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আসাম ও মেঘালয়ার বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। রাজ্য দুটির পানির ঢলে ভেসে গেছে বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জ।

সব খবর